নয়াদিল্লি : বেশ কয়েক দিন ধরেই তিনি বেসুরো ৷ বিজেপি-নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের সঙ্গে তেমন সম্পর্ক নেই বললেই চলে মধ্যপ্রদেশের পিলভিটের বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী ৷ বেশ কয়েক বার দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে ৷ এবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের সময় সেই বরুণ গান্ধী তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলেই জল্পনা ৷ যদিও তৃণমূল কংগ্রেস বা বরুণ গান্ধী কারও তরফে থেকেই এ বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি ৷
তৃণমূল কংগ্রেস এ বার বঙ্গ বিধানসভা ভোটে সাফল্যের পরই দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে শাখা ছড়ানোর চেষ্টা করছে ৷ ত্রিপুরা-গোয়া এমনকি উত্তর প্রদেশেও নিজেদের সংগঠন ছড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল ৷ এরই মধ্যে দলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আভাস দিয়েছিলেন, অনেক বড় নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় ৷ এরই মধ্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে বরুণের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ৷
আরও পড়ুন: কেন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার, কী যুক্তি দিলেন মোদি? ডি-কোড করল কলকাতা টিভি ডিজিটাল
নেহরু-গান্ধী পরিবারের উত্তরাধিকার হলেও, জ্ঞান হওয়া থেকে গেরুয়া শিবিরেই থেকেছেন বরুণ , যার নেপথ্যে ছিলেন তাঁর মা মানেকা গান্ধী । সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়ির সংস্রব ছেড়ে যখন বেরিয়ে আসেন তিনি, সেই সময় কংগ্রেসের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় তাঁর । আশ্রয় পান পদ্ম শিবিরে । স্বাভাবিক ভাবেই সক্রিয় রাজনীতিতে বরুণের অভিষেকও বিজেপি-র হাত ধরেই । ২০০৯ থেকে উত্তরপ্রদেশে দলের সাংসদও তিনি ।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে গেরুয়া শিবিরে সে ভাবে বরুণকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি । বরং কৃষি আন্দোলন-সহ একাধিক ইস্যুতে সাম্প্রতিক কালে বিজেপি এবং উত্তরপ্রদেশে দলের সরকারের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে । লখিমপুরে আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসার পর, অন্যান্য বিজেপি নেতা-নেত্রী যখন মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন, সেই সময় প্রকাশ্যে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন বরুণ । প্রশ্ন তুলেছিলেন মন্ত্রীর ছেলের ঔদ্ধত্য নিয়ে । তার জেরে দলের জাতীয় কর্মসমিতি থেকে নাম পর্যন্ত বাদ যায় বরুণ এবং মানেকার ।
আরও পড়ুন: কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা, পঞ্জাবে ভরাডুবি ঠেকাতে পারবে তো বিজেপি?